৭ মার্চ, ১৯৭১
৭ মার্চ, ১৯৭১
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিকেলে ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে দশ লক্ষাধিক লোকের অভূতপূর্ব সমাবেশে ভাষণ দেন। ২৬ মিনিটের ঐতিহাসিক ভাষণে তিনি ঘোষণা করেন, “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম।”
৭ মার্চ, ১৯৭১
- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিকেলে ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে দশ লক্ষাধিক লোকের অভূতপূর্ব সমাবেশে ভাষণ দেন। ২৬ মিনিটের ঐতিহাসিক ভাষণে তিনি ঘোষণা করেন, “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম।”
- বেলা সোয়া তিনটায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সভাস্থলে এসে উপস্থিত হন। সফেদ পাজামা-পাঞ্জাবি ও কালো কোট পরিহিত শেখ মুজিব মঞ্চে এসে দাঁড়ালে বীর জনতা করতালি ও ‘জয়বাংলা’ শ্লোগানের মধ্যদিয়ে তাঁকে অভিনন্দন জানান। বক্তৃতায় বঙ্গবন্ধু আহবান জানালেন, “প্রত্যেক ঘরে ঘরে দূর্গ গড়ে তোল, তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করতে হবে।” তিনি ঘোষণা করেন, “আমি প্রধানমন্ত্রীত্ব চাই না। আমরা এ দেশের মানুষের অধিকার চাই।… আর যদি একটা গুলি চলে, আর যদি আমার লোককে হত্যা করা হয়, আমি যদি হুকুম দিতে নাও পারি- তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করো। রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরো দেবো। এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাল্লাহ।”
- বক্তৃতাকালে জনতার কণ্ঠে উচ্চারিত হচ্ছিল শ্লোগান, “জাগো জাগো- বাঙালি জাগো”, “পাঞ্জাব না বাংলা- বাংলা বাংলা”, “তোমার আমার ঠিকানা- পদ্মা মেঘনা যমুনা”, “তোমার নেতা আমার নেতা- শেখ মুজিব, শেখ মুজিব”, “বীর বাঙালি অস্ত্র ধরো- বাংলাদেশ স্বাধীন করো।”
- ঢাকা বেতারে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ রিলে না করার প্রতিবাদে বেতারে কর্মরত বাঙালি কর্মচারিরা কাজ বর্জন করেন এবং বিকেল থেকে ঢাকা বেতার কেন্দ্রের সকল অনুষ্ঠান প্রচার বন্ধ হয়ে যায়। বঙ্গবন্ধুর গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ রিলে করা হবে- এ ঘোষণার পর সারা বাংলায় শ্রোতারা অধীর আগ্রহে রেডিও সেট নিয়ে অপেক্ষা করতে থাকেন। শেষ মুহূর্তে সামরিক কর্তৃপক্ষের নির্দেশে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়ার প্রতিবাদে বেতার কেন্দ্রটি অচল হয়ে পড়ে। তখন কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়েই অধিবেশনের সমাপ্তি ঘোষণা করেন। গভীর রাতে সামরিক কর্তৃপক্ষ ঢাকা বেতারে বঙ্গবন্ধুর ভাষণের পূর্ণ বিবরণ প্রচারের অনুমতি দিলে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ দিয়ে ঢাকা বেতার কেন্দ্র পুরনায় চালু হয়।
7th March 1971
- In the evening Sheikh Mujibur Rahman, in a historical congregation of almost 10 lakh people in a 20 minute long speech announces “Ebarer Shongram amader muktir shongram, Ebarer shongram, shadhinotar Shongram” (This war is a war for independence, this war is a war for Freedom)
- Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman reached the Race course premises at 3:15 pm in a white Punjabi and Pajama with the characteristic Black overcoat. As he walked on the stage, the confluence of people welcomed him with Slogans of Joy Bangla. In his speech he urged everyone “raise forts in every house, fight the enemy with what you have at hand”. He also said, “I don’t want the premiership of the country, all I want is the right of the people of this land and if one fire is shot and if one my men is hurt and I am unable to give any advice then you fight, you fight the enemy with what you have at hand. Since we have already shed blood, we will shed even more blood, we will free the people of this country In’shaallah”
- People are chanting slogans in response to the speech urging all to fight for Bangladesh’s Freedom
- In opposition to the fact that Sheikh Mujib’s Speech is not relayed on Dhaka Betaar, all employed Bangladeshis working in Dhaka Betaar suspended the broadcast of all programs and when the news of the relay reached the people, all Bangladeshis waited eagerly with radio in hand to listen to the historic speech. However the Military authorities decided to bar the speech from being broadcasted and this resulted in the complete breakdown of all work in the radio station. Eventually authorities are forced to allow the speech to be broadcasted and in deep into the night Bangabandhu’s speech is decided to be aired and work resumes in the Dhaka radio station
- After the speech, in a Press conference in Dhaka, Air Marshall Retired Asghar Ali Khan asked for the handover of power to the Majority winning Party of Awami league and also urged the withdrawal of power from Military authorities.