৩ মার্চ, ১৯৭১
৩ মার্চ, ১৯৭১
শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে ঢাকায় দ্বিতীয় দিনের মতো এবং সমগ্র বাংলাদেশে প্রথম দিনের জন্য সর্বাত্মক হরতাল পালিত হয়। হরতালের সময় শহরের স্বাভাবিক জীবন যাত্রা সম্পূর্ণ স্তব্ধ হয়ে যায়। হরতাল চলাকালে জনতার স্বতঃস্ফূর্ত মিছিলে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গুলিবর্ষণে ও বিভিন্ন ঘটনায় সারাদেশে শতাধিক ব্যক্তি নিহিত হয়। ঢাকা ছাড়াও রংপুর এবং সিলেটে কারফিউ জারী করা হয়।
৩ মার্চ, ১৯৭১
- শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে ঢাকায় দ্বিতীয় দিনের মতো এবং সমগ্র বাংলাদেশে প্রথম দিনের জন্য সর্বাত্মক হরতাল পালিত হয়। হরতালের সময় শহরের স্বাভাবিক জীবন যাত্রা সম্পূর্ণ স্তব্ধ হয়ে যায়।
- হরতাল চলাকালে জনতার স্বতঃস্ফূর্ত মিছিলে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গুলিবর্ষণে ও বিভিন্ন ঘটনায় সারাদেশে শতাধিক ব্যক্তি নিহিত হয়। ঢাকা ছাড়াও রংপুর এবং সিলেটে কারফিউ জারী করা হয়।
- রংপুরে পাক সেনাবাহিনী ও জনতার মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়লে দুপুর আড়াইটা থেকে ২৪ ঘণ্টাব্যাপী কারফিউ জারী করা হয়। সিলেটে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত কারফিউ জারী করা হয়। ঢাকায় কারফিউয়ের মেয়াদ শিথিল করে রাত ১০টা থেকে সকাল সাড়ে ৬টা পর্যন্ত বলবৎ করা হয়।
- প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান এক ঘোষণায় আগামী ১০ মার্চ ঢাকায় নেতৃবৃন্দের সম্মেলন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। রাওয়ালপিন্ডির প্রেসিডেন্ট ভবন থেকে ঘোষনা করা হয়, এই সম্মেলন অনুষ্ঠানের পর দুই সপ্তাহের মধ্যে জাতীয় পরিষদ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। বঙ্গবন্ধু প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার আমন্ত্রণ তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাখান করেন।
- বঙ্গবন্ধু জনাব ভুট্টোর উদ্দেশ্যে বলেন, গণতান্ত্রিক নিয়মে প্রণীত এক শাসনতন্ত্র যদি না চান তাহলে আপনাদের শাসনতন্ত্র আপনারা রচনা করুন। বাংলাদেশের শাসনতন্ত্র আমরাই রচনা করবো।
- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বুলেটে আহতদের জীবন রক্ষার জন্য জনগণের প্রতি ব্লাড ব্যাংকে রক্তদানের উদাত্ত আহবান জানান। তিনি জনসাধারণকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, বাংলার স্বাধিকার বিরোধী বিশেষ মহল নিজস্ব এজেন্টদের দিয়ে লুটতরাজ, অগ্নিসংযোগ ও উচ্ছৃঙ্খল ঘটনা ঘটাচ্ছে। স্বাধিকার আন্দোলন বিপথগামী করার এ অশুভ চক্রান্ত রুখতেই হবে।
March 3, 1971.
- Called by Sheikh Mujibur Rahman, complete strikes are observed all through Bangladesh for the first time and in the Capital Dhaka for the second time. During the strike general going-on in the city comes to a complete standstill.
- During the strike, in the spontaneous processions brought about by general people, under fire of Pakistani Military many people die. Apart from Dhaka, curfew is imposed on Rangpur and Sylhet.
- In Rangpur, as fight breaks out between Pakistani army men and civilians, from 2:30pm in the afternoon a 24 hour curfew is imposed. In Sylhet the Curfew is imposed from 7:30 in the morning to 7:30 in the evening. Whereas in Dhaka the curfew time is softened and changed from 10:30 in the night to 6 in the morning.
- President Yahya Khan, in an announcement said that a meeting would be arranged on the coming 10th March between the political leaders. This is announced from the President Bhaban in Rawalpindi where it is also said that after the conference, within two weeks, the national Parliamentary/committee assembly will be held. Bangabandhu, instantly rejects the invitation by President Yahya Khan.
- Bangabandhu says in a speech directed towards Mr Bhutto, that “if you do not want a democratically elected government, then you can form your own government. We will form the government/constitution of Bangladesh” said Sheikh Mujibur Rahman.