২১ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

Home

২১ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

Responsive image

২১ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

পাকহানাদার বাহিনী হরিরামপুর থানার বল্লা গ্রামে লুটপাট করতে এলে মুক্তিবাহিনীর বীর যোদ্ধারা তাদের প্রতিহত করে। এতে দুই জন পাকসেনা নিহত হয়। হানাদার বর্বররা কাপুরুষের মত নিরস্ত্র গ্রামবাসীর উপর এর প্রতিশোধ নেয়। পাকহানাদারদের পৈশাচিক নির্যাতনে ১৬ জন নিরীহ গ্রামবাসী নিহত হয়।

২১ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

  • ২নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনীর ২/৩ শ গেরিলার একটি দল পালং থানায় অবস্থানরত পাকবাহিনীর ওপর অতর্কিত আক্রমণ চালায়। চার ঘণ্টা সম্মুখ যুদ্ধের পর পাকবাহিনীর সদস্যরা ঘাঁটি ছেড়ে পালিয়ে যায়। এই যুদ্ধে ৫০ জন পাকসেনা, রাজাকার ও পাকপুলিশ নিহত হয়। মুক্তিবাহিনীর গেরিলাদল সম্পূর্ণ এলাকা দখল করে।

 

  • কুমিল্লায় পাকবাহিনীর ৩৩Ñ বেলুচের ‘বি’ এবং ‘ডি’ কোম্পানি মেজর দুররানির নেতৃত্বে চাঁদলা থেকে নৌকায় করে মুক্তিবাহিনীর অবস্থান আক্রমণের উদ্দেশে মন্দভাগের দিকে অগ্রসর হয়। এ খবর পেয়ে ক্যাপ্টেন গাফফারের দল ও সুবেদার ওহাবের নেতৃত্বে এক প্লাটুন যোদ্ধা শালদা নদীর উপর অবস্থান নেয়। পাকসেনারা মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থানের কাছাকাছি এলে তাদের ওপর মক্তিযোদ্ধারা প্রচণ্ড আক্রমণ চালায়। প্রায় ছয়ঘণ্টাব্যাপী এই যুদ্ধে পাকবাহিনীর একজন ক্যাপ্টেনসহ ২৬ জন পাকসৈন্য নিহত ও অনেক আহত হয়। মুক্তিযোদ্ধারা পাকসেনাদের কাছ থেকে প্রচর অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ দখল করে।

 

  • পাকহানাদার বাহিনী হরিরামপুর থানার বল্লা গ্রামে লুটপাট করতে এলে মুক্তিবাহিনীর বীর যোদ্ধারা তাদের প্রতিহত করে। এতে দুই জন পাকসেনা নিহত হয়। হানাদার বর্বররা কাপুরুষের মত নিরস্ত্র গ্রামবাসীর উপর এর প্রতিশোধ নেয়। পাকহানাদারদের পৈশাচিক নির্যাতনে ১৬ জন নিরীহ গ্রামবাসী নিহত হয়।

 

  • মুক্তিবাহিনী বরগুনা জেলার পাথারঘাটা অঞ্চলে পাকহানাদারদের অবস্থানের ওপর আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে ৫ জন পাকসেনা নিহত হও ৩ জন আহত হয়।

 

  • নির্বাচন কমিশন ইতিপূর্বের ঘোষিত সময়সূচি বাতিল করে জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের শূন্য আসনে উপ-নির্বাচনের নতুন তারিখ ঘোষণা করেন। পুনর্বিন্যাস্ত সময়সূচি অনুসারে ভোট গ্রহণ ১২ ডিসেম্বর শুরু হয়ে ২৩ ডিসেম্বর শেষ হবে।

© 2024 Liberation War Museum, All rights reserved

Powered by -

×