৩ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১
৩ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১
ডা. এ. এম. মালিক গভর্নর ভবনের দরবার কক্ষে এক জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে পূর্ব পাকিস্তানের নতুন গভর্নর হিসেবে শপথ নেন। শপথ বাক্য পাঠ করান প্রদেশের প্রধান বিচারপতি বি.এ. সিদ্দিকী। এই অনুষ্ঠানে লে. জে. এ. কে নিয়াজীসহ উচ্চপদস্থ পাকিস্তানি সামরিক ও বেসামরিক অফিসারগণ উপস্থিত হন।
৩ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১
- ৮নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনী পাকসেনাদের ভোমরা বিওপি অবস্থানের ওপর প্রচণ্ড গুলিবর্ষণ করে। এই আক্রমনে ৩ জন পাকসেনা নিহত হয়। মুক্তিযোদ্ধারা কোন ক্ষতি স্বীকার না করেই নিজ ঘাঁটিতে ফিরে আসে।
- ৭নং সেক্টরে ক্যাপ্টেন গিয়াসউদ্দিন চৌধুরীর মুক্তিযোদ্ধাদল বাজুবাকায় শত্র“ অবস্থানের ওপর অভিযান চালায়। এতে ৩৪ জন রাজাকার নিহত ও ১২৪ জন আহত হয়।
- সিলেটে পাকহানাদার বাহিনী কুমারসাইল মুক্তিযোদ্ধা ঘাঁটির ওপর তীব্র আক্রমণ চালায়। মুক্তিযোদ্ধারা পাল্টা আক্রমণ চালালে উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সঘর্ষ হয়। প্রায় দুই ঘণ্টা যুদ্ধের পর মুক্তিযোদ্ধাদের চাপের ওপর পাকসেনারা পিছু হটতে বাধ্য হয়।
- নারায়ণগঞ্জ-দাউদকান্দি সড়কে গজারিয়াতে ১১ জন রাজাকার ১০টি রাইফেল ও ২০০ রাউণ্ড গুলিসহ মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে আত্মসমর্পণ করে।
- মুক্তিবাহিনীর সেকশন কমান্ডার আমজার হোসেনের নেতৃত্বে ১৬ জন যোদ্ধার একটি দল ভালুকা থানার ভরাডুবা গ্রামে একদল রাজাকারের ওপর আক্রমণ চালায়। এতে ৫ জন রাজাকার নিহত হয়।
- ডা. এ. এম. মালিক গভর্নর ভবনের দরবার কক্ষে এক জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে পূর্ব পাকিস্তানের নতুন গভর্নর হিসেবে শপথ নেন। শপথ বাক্য পাঠ করান প্রদেশের প্রধান বিচারপতি বি.এ. সিদ্দিকী। এই অনুষ্ঠানে লে. জে. এ. কে নিয়াজীসহ উচ্চপদস্থ পাকিস্তানি সামরিক ও বেসামরিক অফিসারগণ উপস্থিত হন।
- পাকিস্তান জাতীয় লীগের সভাপতি আতাউর রহমান খান ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার তেকে মুক্তিলাভ করেন। গত ১৪ জুন ধামরাইস্থ গ্রামের বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
- পিডিপি’র ভাইস প্রেসিডেন্ট নওয়াবজাদা নসরুল্লাহ খান জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদগুলোর নির্বাচন বাতিল এবং নতুন নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত একটি অন্তবর্তীকালীন জাতীয় সরকার গঠনের আহ্বান জানান।