১০ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১
১০ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১
ঢাকায় সামরিক আদালত রাষ্ট্রদ্রোহিতা, অস্ত্রাগার লুণ্ঠন, অননুমোদিত অস্ত্র বিতরণ, রাষ্ট্রবিরোধীদের ট্রেনিং প্রদান প্রভৃতি অভিযোগে আওয়ামী লীগের ১৪৫ জন এম.পি.এÑকে সামরিক আদালতে হাজির হবার নির্দেশ দেয়।
১০ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১
- মুক্তিবাহিনীর গেরিলা দল চৌদ্দগ্রামে পাকহানাদার বাহিনীর হেডকোয়ার্টারের ওপর মর্টারের সাহায্যে আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে ৩০/৪০ জন পাকসৈন্য হতাহতহয়। পাকসেনারা কামানের সাহায্যে মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থানের দিকে গুলি চালালে কিছু বেসামরিক লোক নিহত হয়।
- ২নং সেক্টরের বেলুনিয়ায় পাকহানাদার বাহিনী মহুরী নদী পার হয়ে মুক্তিবাহিনীর অবস্থানের ওপর প্রচণ্ড কামান আক্রমণ চালায়। মুক্তিযোদ্ধারা সমস্ত দিন যুদ্ধের পর পাকসেনাদের এই আক্রমণ প্রতিহত করতে সক্ষম হয়।
- ২নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনী নয়াপাড়ার পাকসেনা ঘাঁটি আক্রমণ করে। এতে পাকসেনারা পর্যুদস্ত হয়ে অবস্থান ছেড়ে পালিয়ে যায়। মুক্তিযোদ্ধারা অনেক অস্ত্রশস্ত্র দখল করে।
- ময়মনসিংহে পাকহানাদার বাহিনী খাদ্য সম্ভার বোঝাই করে পাঁচটি বড় বড় নৌকায় ভালূকার দিকে অগ্রসর হলে কোম্পানি কমান্ডার চাঁন মিয়ার নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা দল ঝালপাজা গ্রামে তাদের ওপর আক্রমণ চালায়। এতে ৪ জন পাকসেনা নিহত ও অনেক আহত হয়। মুক্তিযোদ্ধারা নৌকাসহ ৫৭০ মণ আটা ও ২০ মণ চিনি হস্তগত করে। এই আটা ও চিনি পরে রাজৈর ইউনিয়নের গরীব-দুঃখীদের মধ্যে বিতরণ করা হয়।
- চাঁদপুরের হাজিগঞ্জে মুক্তিবাহিনীর গেরিলা দল পাকবাহিনীর সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। গেরিলা যোদ্ধারা পাকসেনাদের দু’দিক থেকে আক্রমণ চালিয়ে পর্যুদস্ত করে। এতে ৩০ জন পাকসৈন্য নিহত হয় এবং বাকী সৈন্য অবস্থান ছেড়ে পালিয়ে যায়। গেরিলা যোদ্ধারা প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ দখল করে।
- ঢাকায় সামরিক আদালত রাষ্ট্রদ্রোহিতা, অস্ত্রাগার লুণ্ঠন, অননুমোদিত অস্ত্র বিতরণ, রাষ্ট্রবিরোধীদের ট্রেনিং প্রদান প্রভৃতি অভিযোগে আওয়ামী লীগের ১৪৫ জন এম.পি.এÑকে সামরিক আদালতে হাজির হবার নির্দেশ দেয়।
- লে. জেনারেল নিয়াী গাজীপুর অস্ত্র তৈরির কারখানা পরিদর্শন করে অস্ত্রের প্রথম চালান তৈরি করার জন্য কারখানার শ্রমিক কর্মচারীদের ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, এতো শ্রমের তৈরি অস্ত্র দেশের শত্র“দের বিরুদ্ধেই ব্যবহৃত হবে।
- প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ২১নং সামরিক আদেশের পুনর্গঠন করে ২৪নং সামিরক আদেশ জারি করেন।