১৩ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১
১৩ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১
১৩ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১
- মুক্তিবাহিনী লে. মোরশেদের নেতৃত্বে আখাউড়াÑহরশপুর রেলওয়ে লাইনে মুকুন্দপুরের কাছে ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী মাইন পুঁতে তার সাথে বৈদ্যুতিক তার যোগ করে ৩০০ গজ দুরে রিমোট কন্ট্রোল স্থাপন করে অবস্থান নেয়। পাকবাহিনীর এক কোম্পানি সৈন্য বোঝাই একটি ট্রেন অ্যামবুশ অবস্থানের দিকে অগ্রসর হয়ে মাইনের উপরে এলে মুক্তিযোদ্ধারা সুইচ টিপে মাইন বিস্ফোরণ করে। এতে ইঞ্জিনসহ ট্রেনটি বিধ্বস্ত হয় এবং দুইজন অফিসারসহ ২৭ জন পাকসেনা নিহত হয়। মুক্তিযুদ্ধে বৈদ্যুতিক প্রক্রিয়ায় ট্রেন ধ্বংস এটাই প্রথম।
- সিলেটে মুক্তিবাহিনীর ৫০ জন যোদ্ধার একটি দল পকসেনাদের শাহবাজপুর অবস্থানের ওপর আক্রমণ চালায়। ১০ মিনিট পর পাকসেনারা পাল্টা আক্রমণ চালালে উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষে ১৫ জন পাকসৈন্য ও রাজাকার নিহত হয়। মুক্তিবাহিনী অক্ষত অবস্থায় নিরাপদে নিজ ঘাঁটিতে ফিরে আসে।
- ৭নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনী রামচন্দ্রপুর পাকবাহিনীর প্রধান ঘাঁটি আক্রমণ করে। এই আক্রমণে পাকবাহিনীর ২০ জন সৈন্য ও ১২ জন রাজাকার নিহত এবং ১৩ জন সৈন্য আহত হয়। অপরপক্ষে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ও দুইজন যোদ্ধা আহত হন।
- মুক্তিবাহিনী খুলনার হরিনগরে পাকবাহিনীর একটি গানবোট ও সৈন্য বোঝাই কিছু লঞ্চকে অ্যামবুশ করে। এই অ্যামবুশে পাকবাহিনীর গোনবোট আরোহী নিহত এবং রাডার এন্টিনা ধ্বংস হয়। পরে প্রচণ্ড গোলাবিনিময়ে পাকসেনাদের ৪টি লঞ্চ পানিতে ডুবে যায়।
- ৮নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনী বানারীপাড়ায় পাকবাহিনীর কয়েকটি লঞ্চকে আক্রমণ করে। এই আক্রমণে পাকবাহিনীর ৩টি লঞ্চ পানিতে ডুবে যায় এবং ৪০ জন পাকসৈন্য নিহত হয়।
- কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি সম্মেলনে নিউজিল্যান্ডের প্রতিনিধি এইচ.সি. টেম্পেল্টন বলেন : ‘আাদের দেশের পক্ষ থেকে কমনওয়েলথ এবং যুক্তরাজ্যকে পূর্ব পকিস্তানের নাগরিকদের অধিকার সংরক্ষণের জন্য অনুরোধ করছি। আমরা বিশ্বাস করি তাদের সরকার স্বীয় জনগণের অধিকার সংরক্ষণের ক্ষেত্রে সঠিক নীতি অবলম্বন করবে।’
- করাচীতে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ও পিপলস পর্টির চেয়ারম্যান জুলফিকার আরী ভুট্টোর মধ্যে পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক ঘটনাবলী নিয়ে তিন ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।